আব্দুল্লাহ আল যোবাইর

উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির উদ্যোগে ‘ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের বৃহত্তর রূহুল্লার ডেবার ঐতিহ্যবাহী সামাজিক সংগঠন রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির উদ্যোগে গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও এলাকার সর্বস্তরের ১০০০ এক হাজার রোজাদারদের নিয়ে ইফতার করলেন রুহুল্লার ডেবা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটি।

রত্নাপালং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন কন্ট্রাকটারের সভাপতিত্বে ও মাওঃ জাফর আলমের সঞ্চালনায় ২২ই মার্চ রোজ শনিবার বাদ আছর সীরত ময়দানে উক্ত ইফতার ও দোয়া মাহফিল শুরু হয়।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা হাফেজ বশির আহমেদ,বিশেষ বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাওলানা অধ্যাপক আবুল ফজল , বিশেষ বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম জাফরী,বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রত্নাপালং ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জানে আলম, ইউনিয়ন জামায়াতের‌ সভাপতি মাষ্টার মোহাম্মদ হাসেম, উখিয়া উপজেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি ইউনিয়ন জামায়াতের ( যুব বিভাগের) সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল যোবাইর, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন খোন্দকার ,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির উদ্দিন,জামায়াত নেতা বেলাল উদ্দিন, যুবনেতা সালামত উল্লাহ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রুহুল্লার ডেপা ব্রাদার্স ইয়ং সোসাইটির সকল সদস্যবৃন্দ ‌।

উক্ত সংগঠনের মাধ্যমে প্রায় ১০০০জন রোজাদারকে ইফতার করনো হয়।

সংগঠনের সদস্য,শুভাকাঙ্ক্ষী ও উপদেষ্টারা সংগঠনের সফলতা কামনা করেন এবং ভবিষ্যতেও সমাজের কল্যাণে নিয়োজিত থাকতে পারে এই আশাবাদও ব্যক্ত করেন বিশিষ্ট জনরা।

সংগঠনের সদস্যরা জানান আমাদের এই সংগঠন একটি সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন ,

১১০ জন সদস্য নিয়ে এই সংগঠন যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সুনামের সাথে বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে আসছি ।

আমরা দেখেছি আমাদের সকল সদস্যবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে আন্তরিকতার সহিত কাজ করে বিধায় আমাদের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হয় ।

সবার একান্ত প্রচেষ্টায় আমরা অনেক বড় বড় কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয় ।

আলহামদুলিল্লাহ ভবিষ্যতে সবার আন্তরিকতা ও সহযোগীতা পেলে সমাজের বিভিন্ন কাজে আত্মনিয়োগ করতে পারব বলে আশা করছি ।

একজন অতিথি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান মন্তব্য করে বলেন আমি এরকম প্রোগ্রামে এসে নিজেকে ধন্য মনে করছি এবং প্রত্যেক এলাকায় যুবকরা যাতে কল্যাণমূলক কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখে এরকম গণ ইফতার কর্মসূচি পালন করে ভালো কাজ গুলো করে আমি এই সংগঠনকে ধন্যবাদ জানাই ।

সর্বশেষ ইফতার পূর্বে মাওঃ হাফেজ বশির আহমদের দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে প্রোগ্রাম শেষ হয়।