আব্দুল্লাহ আল যোবাইর,
উখিয়ায় চাঞ্চল্যকর হত্যা ও ডাকাতির নেপথ্যে প্রেমঘটিত প্রতিহিংসা- মূলহোতা শরিফ্যা অস্ত্রসহ আটক ২
কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর খুন ও ডাকাতি মামলার মূলহোতা কুখ্যাত আহমদ শরিফ ওরফে শরিফ্যা ডাকাত এবং তার অন্যতম সহযোগী রেজাউল করিম বাবুলকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫।
মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে উখিয়ার পূর্ব নুরার ডেইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, একটি তাজা গুলি এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় র্যাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এই চাঞ্চল্যকর ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ জুন রাত ১টার দিকে উখিয়ার নিদানিয়া এলাকার নুরার ডেইলে ভয়াবহ এই ডাকাতি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় মৃত নুরুল আমিন ও হাসান আলীর বসতবাড়িতে মুখোশধারী ৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল হামলা চালায়। শরিফ্যা ডাকাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র ডাকাতদল ঘরে ঢুকে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে লুটপাট চালায়।
এ সময় মালিক নুরুল আমিন ও তার ভাই হাসান আলী বাধা দিতে গেলে শরিফ গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে উখিয়া থানায় দণ্ডবিধির ৩৯৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় বলা হয়, প্রায় ৮-৯ বছর আগে মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে শরিফ, নিহত নুরুল আমিনের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বিরক্ত করত। সেখান থেকেই শরিফের সঙ্গে নুরুল আমিনের শত্রুতা শুরু হয়, যা পরবর্তীতে এই হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
গ্রেফতার হওয়া শরিফ পূর্ব নুরার ডেইলের ওমর মিয়ার ছেলে এবং সহযোগী বাবুল রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্নার ছৈয়দ আলমের ছেলে।
র্যাবের এ সফল অভিযানে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। হত্যাকাণ্ডের সকল দায়ীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
Leave a Reply