ডেস্ক রিপোর্ট:
চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত করে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ উদ্দিন বাবু।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) একটি হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাবু বলেন, গত ৯ এপ্রিল বিভিন্ন পত্রপত্রিকা,অনলাইন গণমাধ্যমে ‘উখিয়ায় সাংবাদিকের বাড়ি দখলের চেষ্টা: চাঁদা না পেয়ে হামলা, নারী লাঞ্ছনা’ শিরোনামে জসিম আজাদ ও তার ভাই মিজবাহ আজাদ যে সংবাদ প্রচার করেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তিনি বলেন, মূলত বিএনপির জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেছি বলে ফ্যাসিস্ট ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা তার মামা গফুর সওদাগর ও তাদের বাবা আবদুল আজিজ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমার ২৮ বছর রাজনৈতিক জীবনে কারো কাছ থেকে চাঁদা বা কারোর টাকা আত্মসাৎ কিংবা কারোর ক্ষতি করেছি এমন প্রমাণ কেউ দিতে পারবেনা। তাছাড়া আমি একজন সফল ঠিকাদার এবং পারিবারিক ভাবে সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান এবং আমি রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে অংশগ্রহণ করেছিলাম। সুতরাং আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ভিত্তিহীন এবং প্রপাগাণ্ডা ছাড়া আর কিছুই নয়। সংবাদে আমাকে জড়িয়ে যা বলা হয়েছে তা রূপকথার গল্প ছাড়া আর কিছু না। আমি এই মিথ্যা সংবাদিটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বাবু বলেন, মূলত বিষয় টা হচ্ছে আ’লীগের সভাপতি গফুর সওদাগর তৎকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাইমুন উদ্দিন গং থেকে জোরপূর্বক ভাবে জমিটি দখলে নেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে তাইমুন উদ্দিন গং তাদের দীর্ঘদিনের খরিদা সূত্রে পাওয়া পৈতৃক জমিটি ফেরত দিতে গফুর সওদাগরকে প্রস্তাব দিলে গফুর ও জসিম বিষয়টা সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল কবির চৌধুরীকে অবগত করেন। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান স্থানীয় ইউপি সদস্য, গণ্যমান্য ও অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার দিয়ে উভয় পক্ষের জমির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সরজমিন গিয়ে জমিটি জরিপ করেন এবং পরপর চারটি বৈঠক করেন। উক্ত বৈঠকে অন্যান্য’দের মতন আমিও উপস্থিত ছিলাম।
সর্বশেষ বৈঠকে নুরুল কবির চৌধুরী ও তিনজন ইউপি সদস্য মিলে একটি লিখিত রায় ঘোষণা করেন। এই রায়ে তাইমুন উদ্দিন গং তাদের চারবছর আগে জোরপূর্বক দখলে নেওয়া জায়গাটি ফেরত নেওয়ার রায় পান। কিন্তু ওইদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলাম বলেই কি আমার অপরাধী হয়ে গেলাম এ প্রশ্ন রেখে গেলাম আপনাদের কাছে।
বাবু আরও বলেন, জসিম আজাদ ও মিসবাহ আজাদ সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, তাদের পিতা ওর্য়াড আ:লীগের সভাপতি, মামা গফুর সওদাগর উনিও ওয়ার্ড আ:লীগের সভাপতি। এছাড়াও আমাদের কাছে তথ্য আছে আ’লীগকে আবারও পূর্নবাসন করার জন্য উখিয়া উপজেলা আ:লীগের সভাপতির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খুলেছেন যেখানে এই জসিম আজাদ যুক্ত আছেন।
তিনি সাংবাদিকের উদ্দেশ্য বলেন, জসিম আজাদ গংরা অতীতে উখিয়ায় অনেক রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে অনেক মানুষকে মিথ্যা অপবাদসহ নাটক করে মানহানী করেছেন, যা সবাই অবগত আছেন।
আমি আপনাদের মাধ্যমে উখিয়ার সাংবাদিক সমাজ, সুশীল সমাজ , রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, জনপ্রতিনিধি ও জুলাই বিপ্লব আন্দোলনের পক্ষের ছাত্র-জনতা সহ গণ্য মান্য ব্যক্তিদের প্রতি আহবান করছি, প্রয়োজনে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি পুনরায় তদন্তের ব্যবস্থা করুন। অন্যতায় আমার মানহানির জন্য আমি যে কোন মূহুর্তে আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
এদিকে একই সময়ে জমির খরিদা সূত্রে পৈতৃক মালিক তাইমুন উদ্দিন বলেন, এই জমির প্রকৃত মালিক আমরা। যা আমাদের কাছে দলীল, খতিয়ান আছে এবং সাবেক চেয়ারম্যান ও তিনজন ইউপি সদস্যদের দেওয়া একটি সালিশ রায়ের কপিও আছে।
সুতরাং আমার জমিতে আমি গিয়েছি এইখানে মাহফুজ উদ্দিন চৌধুরী বাবু সহ আমাদের বিরুদ্ধে দখলের কথা বলে যে মিথ্যা ভিত্তিহীন নিউজ প্রকাশ হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
Leave a Reply