সম্পাদকীয়,
কক্সবাজারে পিটিআইয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আবুল কাছেম নামেই সমধিক পরিচিত। নব্বই ছুঁই ছুঁই বয়স এখন। নিয়মিত বাড়ির পাশের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েন। পুরোনো স্মৃতি মন থেকে মুছে যেতে শুরু করেছে। ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকেই গ্রামেই বসবাস।
থিমছড়ি গ্রামে আবুল কাছেমের জন্ম ১৯৩৭ সালে। পিতা সেকালের ঈর্ষনীয় মেধাবী শিক্ষক সিকান্দার আলী প্রকাশ সিকান্দার পণ্ডিত। ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত থিমছড়ি প্রাথমিক ( বর্তমানে সরকারি) স্কুল থেকে প্রাথমিকের পাঠ চুকিয়ে ১৯৫৪ সালে কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৫৬ সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে ১৯৬০ সালে ফেনি কলেজ থেকে বিএ পাস করেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি-এড ডিগ্রি অর্জন করেন। বি এড ডিগ্রি নেওয়ার পরে ১৯৬২ সালে সীমান্ত শহর টেকনাফ হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬৩ সালে কক্সবাজার প্রাইমারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৫ সালে সহকারী সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও ১৯৮৬ সালে পদোন্নতি পেয়ে সুপারিন্টেন্ডেন্ট হন। সুপারিন্টেন্ডেন্ট থাকা কালে ১৯৮৭ সালে ময়মনসিংহ টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে ইংরেজি বিষয়ে এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। ১৯৯৬ সালে নিজ গ্রামের মাধ্যমিক স্কুল ভালুকিয়া পালং হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে একটি পশ্চাৎপদ স্কুলকে ধ্বংস স্তুপ থেকে টেনে তুলেন।
তার বড় সন্তান চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের পদার্থ বিদ্য বিভাগের অধ্যাপক।
তিনি কক্সবাজার পিটিআইয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট হিসেবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষককে আদর্শ শিক্ষক হিসেবে গড়ে তুলছেন।
আজ মাধ্যহ্নে আমি, কক্সবাজারের জেলা শিক্ষা অফিস মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ও প্রাক্তন জেলা শিক্ষা অফিসার, কক্সবাজার সাহিত্য একাডেমির সহ- সভাপতি ছড়াকার মো. নাছির উদ্দিন উনাকে দেখতে গ্রামের বাড়িতে যাই। এসময় তিনি আমাদের কাছে পেয়ে আবেগ প্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি আমাদের সাথে তার কর্মময় জীবনের বিভিন্ন স্মৃতি হাতড়িয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
আদর্শ শিক্ষক তৈরির কারিগর জেলার অপ্রতিদ্বন্ধী বয়োজ্যেষ্ঠ প্রবীণ শিক্ষাবিদ জেলারবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আল্লাহ তাকে হায়াত দান করুন।
Leave a Reply