1. admin@currentnews-24.com : currentnews :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:২৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ সিকদারের বড় ভাই জলিল সিকদারের মৃত্যুতে পালং ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শোক প্রকাশ  উখিয়ায় ৪ দফা দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে  বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি “ফ্রেন্ডশিপ স্পোর্টিং ক্লাব” কর্তৃক কৃতি ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা প্রদান উখিয়ায় ইয়াবাসহ স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার – পরিবারের দাবী ‘ষ’ড়’যন্ত্র উখিয়ায় বলির ছলে জুয়ার আয়োজনের চেষ্টা, আতঙ্কে স্থানীয়রা মরহুম নুরুল আবছারের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত   ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ছিলেন সাহিত্য—সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকপাল উখিয়া ও রামু প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানে দু’উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনধিক ১০টি করাতকল উচ্ছেদ ও উদ্ধার  আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর চট্টগ্রাম সফরকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ত্রিভুজ-এম রহিম উল্লাহ

  • প্রকাশিত : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫
  • ৯৬ বার পাঠ করা হয়েছে

✍️বাংলাদেশের রাজনীতিতে তিনটা রেড লাইন আছে। এই তিনটা রেড লাইনের সমন্বয়ে আমি আপনাকে একটা ত্রিভুজ কল্পনা করতে অনুরোধ করছি। আপনি যদি বাংলাদেশে দলভিত্তিক রাজনীতি করতে চান ও ক্ষমতায় যেতে চান – আপনাকে এই ত্রিভুজের ভেতরে থাকতে হবে। রেড লাইন তিনটা এরকম।

১. আপনি এন্টি-মুসলমান হতে পারবেন না।
২, আপনি প্রো-ইন্ডিয়ান হতে পারবেন না।
৩. আপনি এন্টি-১৯৭১ হতে পারবেন না।

এখানে কিছু নুয়ানসেস আছে – যেটা আপনাকে বুঝতে হবে। আপনি যদি একটা মোটামুটি সেন্সেবল আওয়ামী লীগকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন – সে বিএনপি বা জামায়াতকে বলবে ফটকা মুসলমানদের দল। যে তারা প্রকৃত মুসলমান না। তারা বাটপারদের দল। কিন্তু আপনি যেকোনো ইসলামিস্ট বা বিএনপিকে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন – সে বলবে যে আওয়ামী লীগ মুসলমান বিরোধী রাজনীতি করে। এনসিপি বিষয়েও জিজ্ঞেস করতে পারেন। বেশীরভাগ লোকের ধারণা নাই যে এই পার্টিটা ঠিক কী বলতে বা করতে চায়। কিন্তু কেউ বলবে না যে তারা এন্টি মুসলমান।

বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ও টিকে থাকার সাথে জড়িত হলো এক ধরনের ভারত বিরোধী মনোভাব (আমি এই ভৌগোলিক রাষ্ট্রের অভ্যুদয় বলতে ১৯৪৭ কে অবশ্যই ইনক্লুড করছি) এখন আপনি এখানে ভারত বিরোধী না হয়েও রাজনীতি করতে পারবেন কিছুটা – কিন্তু প্রো-ইন্ডিয়ান হয়ে আপনি রাজনীতি করতে পারবেন না। সত্যিকারে আপনি প্রো না এন্টি ইন্ডিয়ান – সেটা তর্কসাপেক্ষ বিষয়। কিন্তু মানুষ যেন না মনে করে যে আপনি প্রো-ইন্ডিয়ান। আওয়ামী লীগের মতো। থার্ড যে রেড লাইন সেটা হোলো ১৯৭১। বিএনপির ১৯৭১, আওয়ামী লীগের ১৯৭১, জামায়াতের ৭১,ও এনসিপির ১৯৭১ – এক জিনিস না। মানছি। কিন্তু মোটা দাগে – কেউই ১৯৭১ এর রেড লাইন অতিক্রম করে না। মানে আপনি পলিটিকালি এই স্ট্যান্সে যেতে পারবেন না যে ১৯৭১ ভুল ছিলো বা আমাদের পাকিস্তানের সাথে থাকা উচিত ছিলো। কারণ বাংলাদেশ যে ৭১এ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করেছে, সেই স্বাধীনতার প্রাপ্তি কিংবা অপ্রাপ্তি যাই হোক না কেন, মানুষের মনে স্বাধীন বাংলাদেশ শব্দ টা স্টাবলিশ হয়ে গেছে। আমার একটা থিওরি আছে, আপনি যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে রেলেভেন্ট থাকতে চান – আপনাকে এই তিন রেড লাইনের ভেতরে থাকতে হবে। কোনো একটা জায়গায় থাকতে হবে – কিন্তু সেটা ত্রিভুজের ভেতরে। আওয়ামী লীগ দুইটা রেড লাইন অতিক্রম করেছে দেখেই ছিটকে গেছে। জামায়াত রেড লাইন অতিক্রম না করলেও বিরোধিদের তৈরি করা বিদ্বেষমূলক বয়ানের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়ার কারণে মেইনস্ট্রিম রাজনীতিতে সোজা হয়ে দাড়াতে পারে নাই।

মনে রাখতে হবে যে এই তিনটা রেড লাইন হলো বাংলাদেশের এভারেজ একটা মানুষের চিন্তার চৌহদ্দি। রাজনীতির চৌহদ্দি না। আপনি যদি এই ট্রিনিটি ভাঙেন – সমস্যা হলো যে আপনি কখনোই ঐ মাল্টিক্লাস সাপোর্ট বেইজ তৈরী করতে পারবেন না যা দিয়ে আপনি ক্ষমতায় যেতে পারেন। কোনো একটা রেড লাইন অতিক্রম করলে – আপনি এতো শত্রু বানাবেন বা এতো লোক হারাবেন যে আপনি নতুন করে ক্রিটিকাল মাস তৈরী করতে পারবেন না ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য।

নতুন একটা রেড লাইন তৈরী হচ্ছে বলে আমার ধারণা। এই রেড লাইনটা হলো আপনি এন্টি ২০২৪ হতে পারবেন না। টু আর্লি টু সে যে এটা আসলেই একটা রেড লাইন হবে কি না। জানি না – তবে এই ত্রিভুজ যদি কোনোদিন চতুর্ভুজ হয় – আমি বলবো এনসিপির রাজনীতি সার্থক।

জামায়াতের উচিত হবে, এতদিনের মিথ্যা বয়ানকে জয় বাংলা করে দেওয়ার জন্য এন্টি ১৯৭১ কে এন্টি ২০২৪ দিয়ে প্রতিস্থাপিত করা। এনসিপি চাইছে ত্রিভুজটাকে চতুর্ভুজ বানাতে। যে এন্টি ২০২৪ হলো ফোর্থ রেড লাইন। আর বিএনপি নতুন করে তেমন কিছুই চায় না। কিন্তু সে এন্টি ১৯৭১ রেড লাইনকে বাদ দিতে দিবে না। বিএনপির কথা নাই-বা বললাম, এদের নিজস্ব কোন বয়ান নাই। এরা কিছু আওয়ামী লীগ থেকে, কিছু বামদের থেকে, কিছু জামায়াত থেকে বয়ান ধার করে রাজনীতি করতেছে। তাদের নিজস্ব কোন পলিটিক্যাল গ্রাউন্ডের জন্য তৈরি করা ন্যারেটিভ নাই। আদর্শিক রাজনীতি চর্চা ও বয়ান তৈরির ক্ষেত্রে লেজেগোবরে অবস্থা তাদের।

আমাদের যাবতীয় পলিটিকাল ন্যারেটিভ এই ত্রিভুজের ভেতরে।
আমার থিয়োরি হলো জামায়াত যদি ক্ষমতায় যেতে চায় – তাকে সাক্সেসফুলি ঐ থার্ড রেড লাইনটাকে ফোর্থ রেড লাইন দিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে পারতে হবে। মানে এই দেশের বেশীরভাগ মানুষ (৫০-৭০%) ১৯৭১ কে ধর্তব্যেই আনবে না। অর্থাৎ এন্টি-১৯৭১ হওয়াটাকে সমস্যাজনক মনে করবে না। অথবা সমসংখ্যক মানুষকে মনে করতে হবে যে জামায়াত এন্টি-১৯৭১ দল না। দুইটার একটা ঘটনা ঘটতেই হবে। আপনি যদি লং-টার্মে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশেষ করে ভোটের রাজনীতিতে রেলেভেন্ট থাকতে চান—এই ত্রিভুজের ভেতরে থাকবেন – ভাঙবেন না। সমস্যা হতে পারে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি