1. admin@currentnews-24.com : currentnews :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ সিকদারের বড় ভাই জলিল সিকদারের মৃত্যুতে পালং ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শোক প্রকাশ  উখিয়ায় ৪ দফা দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে  বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি “ফ্রেন্ডশিপ স্পোর্টিং ক্লাব” কর্তৃক কৃতি ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা প্রদান উখিয়ায় ইয়াবাসহ স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার – পরিবারের দাবী ‘ষ’ড়’যন্ত্র উখিয়ায় বলির ছলে জুয়ার আয়োজনের চেষ্টা, আতঙ্কে স্থানীয়রা মরহুম নুরুল আবছারের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত   ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ছিলেন সাহিত্য—সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকপাল উখিয়া ও রামু প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানে দু’উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনধিক ১০টি করাতকল উচ্ছেদ ও উদ্ধার  আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর চট্টগ্রাম সফরকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। 

আল বিদা ব্যারিস্টার! নুর মোহাম্মদ আবু তাহের

  • প্রকাশিত : রবিবার, ৪ মে, ২০২৫
  • ৮৩ বার পাঠ করা হয়েছে
তখন সম্ভবত ক্লাস এইট-এ পড়ি।
কর্মী টিসিতে একটা বক্তব্যে জনৈক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আমাদের বলছিলেন—চৌধুরী মাহমুদ হাসানের মতো বিজ্ঞানী হতে হবে, শাহ আব্দুল হান্নানের মতো অর্থনীতিবিদ হতে হবে, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের মতো আইনজ্ঞ হতে হবে।’
তখন কাউকেই চিনতাম না। নামগুলো গেঁথে রেখেছিলাম।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেবকে চিনেছি সেই রাতে, যে রাতে শহীদ কাদের মোল্লা ভাইকে কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি দেওয়ার আয়োজন করা হচ্ছিল।
সব ঠিকঠাক, সম্ভবত রাত ১০.৩০টার দিকে ফাঁসি কার্যকর হবে।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক চেম্বার জজের কাছে গেলে রাত ৯.০০টার দিকে। আইনী কিছু পয়েন্ট তুলে ফাঁসির আদেশ কার্যকরের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক স্টে অর্ডার নিলেন।
মুশকিল হলো, ততক্ষণে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত।
পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ। চারদিকে সুনসান নীরবতা আর জিঘাংসু নেকড়ে চোখ। সাধারণ মানুষ তো বটেই, রাস্তায় ডিফেন্স টিমেরও কেউ নিরাপদ নন। জুনিয়র কাউকে তো মেরেই ফেলবে।
ব্যারিস্টার রাজ্জাক সাহেব নিজেই নাজিমুদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারের দিকে ছুটলেন। রাস্তায় কিছুটা জ্যাম আর ঝামেলা। কারাফটকের সামনে বুনো উল্লাসে কিছু পিশাচ।
ব্যারিস্টার সাহেব গাড়ি থেকে নেমে প্রায় দৌড় দিলেন কারাফটকে। মৃত্যুঝুঁকি ছিল, তিনি উপেক্ষা করলেন।
নির্ধারিত সময়ের আগেই তিনি জেলগেটে স্টে অর্ডার পৌঁছে দিলেন। সেদিনের মতো কাদের মোল্লা ভাই পৃথিবীর বুকেই বেঁচে থাকলেন।
না, শেষ পর্যন্ত ব্যারিস্টার সাহেব কাদের মোল্লা ভাইয়ের শাহাদাত ঠেকিয়ে দিতে পারেননি। শাহাদাতের ফায়সালা তো আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে।
কিন্তু সেদিন বন্ধুকে ফাঁসির দড়ি থেকে রক্ষা করতে পাগলের মতো উন্মাদনা দেখেছি ব্যারিস্টার সাহেবের। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে দেখেছি।
এমন করেই লড়েছিলেন তিনি।
আজ তিনি তার শ্রদ্ধেয় সহকর্মীদের মিছিলে শামিল হয়েছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
রাব্বুল আলামিন, আপনি ব্যারিস্টার সাহেবের প্রতি রাজিখুশি থাকুন, ক্ষমা ও রহমতের চাদরে আবৃত রাখুন।
লিখেছেন-
নুর মোহাম্মদ আবু তাহের
চেয়ারম্যান-গুনাহার ইউনিয়ন পরিষদ।
বগুড়া, দুপচাঁচিয়া উপজেলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি