এম আর আয়াজ রবি,
উখিয়া ও রামু প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানে দু’উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনধিক ১০টি করাতকল উচ্ছেদ ও উদ্ধার
উখিয়া ও রামু উপজেলা প্রশাসন ও বন প্রশাসনের যৌথ অভিযানে উভয় (উখিয়া ও রামু) উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনধিক ১০টি অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ ও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার (১৫-মে) উখিয়ায় বিকাল ৪ টার ও রামু উপজেলায় সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
উখিয়া উপজেলা প্রশাসন ও বন প্রশাসন উখিয়া রেঞ্জের থাইংখালী বিটের থাইংখালী বাজার সংলগ্ন ১ টি, পালংখালী বাজার সংলগ্ন ১টি
মোছড়খোলা বিটের হোয়াইকং ব্রিজ সংলগ্ন ১ টি, পালংখালী বাজার সংলগ্ন ১ টি মোট ৪ টি করাত-কল উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাছাড়াও ভালুকিয়া বিটের রত্নাপালং এলাকায় আদালত এর একটি রায়কে মিসগাইড করে চালিয়ে আসা একটি করাত-কলকে বন বিভাগের নোটিশের যথাযথ উত্তর না দিতে পারার কারণে মিলটি খুলে ফেলা হয়েছে।
অভিযানে অংশগ্রহণ করেন, সহকারী কমিশনার ( ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন,
উখিয়া রেঞ্জের সহকারী বন রক্ষক ও রেঞ্জার শাহিনুল ইসলাম, বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তাগণ, উখিয়া পুলিশের একটি দল ও বনবিভাগের গার্ডসহ অনেকেই সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
অন্যদিকে রামু উপজেলা প্রশাসন ও বন প্রশাসনের যৌথ উদ্দ্যোগে রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় রামু উপজেলার রাজারকূল বিটের আওতাধীন শিকল ঘাটা নামক স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনটি অবৈধ করাতকল জব্দ ও উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানটি বেলা ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে।
উক্ত অভিযানে অংশগ্রহণ করেন রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, সহকারী বন সংরক্ষক ও রেঞ্জ কর্মকর্তা রাজারকুল রেঞ্জ মোঃ অভিউজ্জামান .রেঞ্জ কর্মকর্তা পানেরছড়া রেঞ্জ শরীফুল ইসলাম. বিট কর্মকর্তা দারিয়ারদীঘি বিট মোঃ ইসরাইল হোসেন, বিট কর্মকর্তা রাজারকূল বিট পল্লব কুমার সাহা, বিট কর্মকর্তা আপার রেজু বিট আমজাদ হোসেন, বিট কর্মকর্তা পানের ছড়া বিট মোস্তফা বিদ্যুৎ সহ রাজারকুল রেঞ্জের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী বৃন্দ।
উক্ত অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে বাপা উখিয়া উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক আয়াজ রবি বলেন, এমনিতে উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের বসবাসের স্থান ও বিভিন্ন এনজিও সংস্থার অফিস, লজিস্টিক সাপোর্টের জন্য হাজার হাজার বনভুমি উজাড় করতে হয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজার দক্ষিণ বনভুমিতে বনদস্যুদের অত্যাচারে কোনভাবেই বনভুমি, পাহাড়, বালিমহল সংরক্ষণ করা যাচ্ছিল না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপে সাঁড়াশি অভিযানকে স্বাগত জানাই। এরুপ অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।
পরিশেষে উখিয়া সদর ও রামু রাজারকুল অভিযানে অংশগ্রহণকারী সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এভাবে অবৈধ করাতকল, পাহাড় ও বনভুমি ধ্বংসকারীসহ অবৈধ বালি মহলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে। সবাইকে তাদের এই অভিযানকে সহযোগিতা করার আহবান জানান।
Leave a Reply