আব্দুল্লাহ আল যোবাইর,
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি এস এম লুৎফর রহমান বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে দেশের অর্থনীতির বিরাট অংশ আবর্তিত হয়। বিশালসংখ্যক ব্যবসায়ী, এক্সপোর্টার, ইমপোর্টারের সম্পদ ফুলে ফেঁপে উঠে। কিন্তু যে জনবলের ঘামে ও শ্রমে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালিত হয়, সেই শ্রমিকদের ভাগ্য বদল হয় না। শ্রমিকদের বহু ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। অবিলম্বে এই বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যায্য দাবিদাওয়া মেনে নিতে হবে। বিশেষ করে পোর্ট ডিউটি ভাতা ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা করতে হবে। ঝুঁকি ভাতা বেসিকের ১০% করতে হবে। প্রতি বছর পোর্ট ডে-তে বন্দরের লভ্যাংশের ৫% কর্মকতা-কর্মচারীদের মাঝে সমহারে বণ্টন করতে হবে।
তিনি বলেন ৩৬ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের পর স্বৈরাচারের দোসর বন্দর শ্রমিকলীগ নিয়ন্ত্রিত সিবিএ এর নেতারা পালিয়ে যায়,এর প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বৈধ প্লাটফর্ম নেই। তিনি দ্রুত সিবিএ নির্বাচন দেয়ার জন্য কতৃপক্ষের প্রতি আহবান জানান।
চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘ আয়োজিত শ্রমিক শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস এম লুৎফর রহমান উপর্যুক্ত কথা বলেন।
আজ সকালে চট্টগ্রাম বন্দর ইসলামী শ্রমিক সংঘের সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ ইয়াসিনের পরিচালনায় শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি ছিলেন,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জাকির হোসাইন, ফেডারেশনের নগর সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব চৌধুরী।
প্রধান অতিথি এস এম লুৎফর রহমান ইসলামী শ্রমিক সংঘের ওপরে উল্লিখিত দাবিসমূহ বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা-সহ প্রধান উপদেষ্টাকে অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি শিক্ষাশিবিরের ডেলিগেটদের নিজেদের নৈতিক মান উন্নয়নে বিশেষভাবে মনোযোগী হওয়ার নির্দেশনা দেন। আত্মগঠনের জন্য ইসলামের যথার্থ জ্ঞান, ইসলামের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, চারিত্রিক সৌন্দর্য ও কথা অনুযায়ী কাজ করার এবং দ্বীন কায়েমকে জীবনের উদ্দেশ্যে পরিণত করার জন্য তাগিদ দেন। পাশাপাশি অধস্তন কর্মীদের মান উন্নয়নের জন্য তাদেরকে সাহচর্যদান, মৌলিক ইবাদত পালনের প্রতি উৎসাহ, বই পড়ানো এবং আন্তরিকতার সাথে দুআ করার জন্য উপদেশ দেন।
বিশেষ অতিথি আবু তালেব চৌধুরী গোছানো ও মানসম্মত ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণ এবং সংগঠনের কাজকে একটি উন্নত আদর্শ মানে উন্নীত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
শিক্ষাশিবিরে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রমিকনেতা রেজাউল করিম, আক্তার ফারুক, আতিকুল্লাহ কায়সার, রবিউল হাসান পাটোয়ারী ও মোহাম্মদ হারুন।
Leave a Reply