1. admin@currentnews-24.com : currentnews :
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:১৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ সিকদারের বড় ভাই জলিল সিকদারের মৃত্যুতে পালং ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের শোক প্রকাশ  উখিয়ায় ৪ দফা দাবীতে মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে  বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি “ফ্রেন্ডশিপ স্পোর্টিং ক্লাব” কর্তৃক কৃতি ক্রীড়াব্যক্তিত্বদের সংবর্ধনা প্রদান উখিয়ায় ইয়াবাসহ স্কুল শিক্ষক গ্রেফতার – পরিবারের দাবী ‘ষ’ড়’যন্ত্র উখিয়ায় বলির ছলে জুয়ার আয়োজনের চেষ্টা, আতঙ্কে স্থানীয়রা মরহুম নুরুল আবছারের স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত   ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ছিলেন সাহিত্য—সাংস্কৃতিক অঙ্গনের দিকপাল উখিয়া ও রামু প্রশাসনের সাঁড়াশি অভিযানে দু’উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে অনধিক ১০টি করাতকল উচ্ছেদ ও উদ্ধার  আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার গতকাল বুধবার প্রধান উপদেষ্টা তাঁর চট্টগ্রাম সফরকালে চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করেন। 

ফিলিস্তিন মুক্তির ভিত্তি হউক দ্বীনের ভিত্তিতে একতা, জাতীয়তাবাদ বা রাষ্ট্র নয়-তৌহিদুল ইসলাম

  • প্রকাশিত : বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
  • ১৫৪ বার পাঠ করা হয়েছে
গাজা দেখলে বুঝার উপায় নেই এটা দুনিয়া। মনে হয় এটা দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন কোন ভূখণ্ড। যেখানে মানবতা বলতে কিছু নেই। যেখানে মানুষের মাংস গরুর মাংসের মতো ভাগ ভাগ হয়ে আছে। পিতা তার সন্তানের লাশ শনাক্তে মর্গে লাশ বিচড়াচ্ছে।আদরের শহীদ কন্যাকে কুলে নিয়ে পিতা শেষবার চুলের বেণী খুলে দিচ্ছে। এমন নির্মম ভালোবাসা বিনিময়ের মুখোমুখি আল্লাহ আর কাউকে না করুক। কতো লাশ! জীবন্ত মানুষের উপর এমন নৃশংসতার সাক্ষী দুনিয়ায় আর কখনো হয়েছে বলে মনে হয় না।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, এর শেষ কোথায়? আমরা কি শুধু আবেগী স্ট্যাটাস, নিন্দা বা বিক্ষোভেই সীমাবদ্ধ থাকবো? ইতিহাস সাক্ষী, শুধু নিন্দা জানিয়ে কখনোই অত্যাচারীরকে পরাভূত করা যায়নি। তলওয়ার দিয়ে গর্দান নামিয়ে দিতে হয়েছে। যখন মুসলমানরা তাদের দ্বীনকে জীবনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে, তখনই তারা বিজয় লাভ করেছে। আর যখন তারা নিজেদের রাষ্ট্রীয় সীমানার মাঝে বিভক্ত হয়েছে, জাতীয়তাবাদকে দ্বীনের ওপরে স্থান দিয়েছে, তখন থেকেই তারা পদদলিত হচ্ছে।
আজকের আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থা আসলে আমাদের মধ্যে বিভেদের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছ। এক সময়ের একক মুসলিম উম্মাহ আজ অনেকগুলো ছোট ছোট রাষ্ট্রে বিভক্ত, যেখানে প্রতিটি রাষ্ট্রের স্বার্থ তার নিজের সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শুধু সৌদি, তুর্কী ,সিরিয়াকে গালি দিয়ে লাভ নেই। তারাও মুসলিম হওয়ার থেকে একেকটা রাষ্ট্র হয়ে ওঠাকে গুরুত্ব দিচ্ছে। দিবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ এই রাষ্ট্র ব্যবস্থা মুসলমানদেরকে বিক্ষিপ্ত করে রাখার অন্যতম হাতিয়ার। অথচ ইসলামের ইতিহাস বলে, আমাদের পরিচয় কোনো জাতি বা ভূখণ্ড নয়, বরং আমাদের আসল পরিচয় হলো “মুসলিম”- যেমন আল্লাহ বলেন,
إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ
“নিশ্চয়ই মুসলমানরা পরস্পরের ভাই।” (সুরা হুজরাত: ১০)
এই ভ্রাতৃত্বকে টিকিয়ে রাখার জন্য রাসূল (সা.) মদিনায় একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেখানে আরব-অনারব, সব মুসলমান এক ছাতার নিচে ছিল। কিন্তু আজ আমাদের বিভক্ত করে রাখা হয়েছে রাষ্ট্র ও জাতীয়তাবাদের নামে, যাতে আমরা কখনোই এক হয়ে দাঁড়াতে না পারি।
গতকাল ছিল ১৭ রমাদান, ঐতিহাসিক বদর দিবস। এই দিনে মাত্র ৩১৩ জন সাহাবি মক্কার বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। রাসূল (সা.) চাইলে শুধু দোয়া করেই বিষয়টি ছেড়ে দিতে পারতেন, কিন্তু তিনি তা করেননি। বরং যুদ্ধের জন্য কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, বাহিনী সাজিয়েছিলেন, পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তারপর আল্লাহর সাহায্য চেয়েছিলেন।
وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا ٱسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ ٱلْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِۦ عَدُوَّ ٱللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ
“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যথাসম্ভব শক্তি ও অশ্বসেনা প্রস্তুত করো, যাতে তোমাদের এবং আল্লাহর শত্রুদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়।” (সুরা আনফাল: ৬০)
এখানে আল্লাহ স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছেন শুধু দোয়া নয়, বরং শক্তি অর্জন করাও ফরজ। বদরের যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে যে শুধু লানত পাঠিয়ে, আবেগে ভেসে গিয়ে কিছু হবে না, বরং পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজ জায়নবাদীরা ১৭ রমাদানকে বেছে নিয়েছে ফিলিস্তিনের উপর বর্বর হামলার জন্য। তারা জানে, মুসলমানরা যখন দ্বীনের জন্য লড়াই করে, তখন তারা অপরাজেয় হয়ে ওঠে। তাই তারা আমাদের দুর্বল রাখার জন্য আমাদের মাঝে ফিতনা ছড়ায়, আমাদের বিক্ষিপ্ত রাখে।
কিন্তু আমরা কি এখনো ঘুমিয়ে থাকবো? আমরা কি শুধুই কষ্ট পাবো, শুধু দোয়া করবো, নিজেদের প্রস্তুত করবো না? আল্লার কাছে খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.), সালাহউদ্দিন আইয়ুবি (রহ.) ভিক্ষা চেয়ে লাভ নেই। আপনারা একেকজন সিপাহসালার হয়ে না উঠলে আরো নিষ্পেষিত হতে তৈয়ার থাকুন। খালিদরা আয়ুবিরা ঈমান, একতা, এবং শক্তির মাধ্যমে বিজয় এনেছেন ভুলে যাবেন না।
আমাদের মুক্তি শুধুই কালেমার মধ্যে আছে, কিন্তু সেটা শুধু মুখে বললেই হবে না একে অন্তরে ধারণ করতে হবে, জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। যদি আমরা সত্যিই শাহাদাহকে অন্তর থেকে ধারণ করি, তবে দুনিয়া আমাদের সামনে নত হবে।
হে উম্মাহ রাষ্ট্র, রাষ্ট্রসংঘ, আধুনিক কূটনীতি এসব কেবল আমাদের শক্তি বিভক্ত রাখার মাধ্যম। আমাদের এক হওয়া দরকার একমাত্র দ্বীনের ভিত্তিতে, জাতীয়তাবাদ বা ভূখণ্ডের ভিত্তিতে নয়।
এখন সময় এসেছে শুধুমাত্র লানত বা স্ট্যাটাসে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদেরকে সংগঠিত করার, শিক্ষা, অর্থনীতি, প্রযুক্তি, এবং সামরিক শক্তির মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রস্তুত করার। কারণ আল্লাহ আমাদের বলে দিয়েছেন-
إِن تَنصُرُوا اللَّهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
“তোমরা যদি আল্লাহকে সাহায্য করো, তাহলে তিনিও তোমাদের সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ় করবেন।” (সুরা মুহাম্মাদ: ৭)
এখন প্রশ্ন হলো, আমরা কি সত্যিই আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করতে প্রস্তুত? নাকি শুধু আবেগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবো?
লেখক-
তৌহিদুল ইসলাম
লেকচারার-আইন বিভাগ
বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
কারিগরি সহযোগিতায়: জাগো হোষ্টার বিডি